সক্ষম

অঞ্জলি গায়কোয়াড়, পুণের অম্বেগাঁও-তে বসবাস করেন. তার পরিবার খুবই গরিব এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তিনি শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারেননি. তার বাবা একজন দিনমজুর হিসাবে কাজ করেন এবং তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য. পরিবারটি চার বেলার অন্ন সংস্থান ভালো ভাবে করতে পারতো না. অঞ্জলি তার পরিবারের হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু তার জন্য কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না. এমন পরিস্থিতিতে তিনি তার এলাকায় যুব পরিবর্তন দ্বারা পরিচালিত একটি মোবিলাইজেশন ড্রাইভের সংস্পর্শে এসেছিলেন. তিনি কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং বিভিন্ন কোর্সের ব্যাপারে জানতে পেরেছিলেন. তিনি মাল্টি-স্কিল প্রোগ্রামে নাম নথিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন. প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ করার পর, তিনি হাই স্পিড মাল্টি সলিউশনে চাকরি পেয়েছিলেন এবং প্রতি মাসে বেতন হিসেবে ₹7,000 আয় করা শুরু করেন. অঞ্জলি এখন তার পরিবারের হাল ধরতে সক্ষম হয়েছে এবং টিভিএস ক্রেডিট ও যুব পরিবর্তন দ্বারা অফার করা এই সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন.

হর্ষদ সীতারাম চবন, পুণের অম্বেগাঁওতে তার বাবা-মা এবং ছোট ভাই ও বোনের সাথে থাকেন. তার বাবা শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন এবং আয়ের কোনও স্থির উৎস নেই. হর্ষদ তার পরিবারের হাল ধরার জন্য কাজ করতে চাইছিলেন. তিনি তার এলাকায় অনুষ্ঠিত একটি মোবিলাইজেশন ড্রাইভের মাধ্যমে মাল্টি-স্কিল প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন. তিনি শীঘ্রই কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং এই প্রোগ্রামের বিশদ বিবরণ জানতে পেরেছিলেন. তার বাবার সাথে পরামর্শ করার পরে, হর্ষদ এই প্রোগ্রামের জন্য নাম নথিভুক্ত করেন. তিনি তার প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি হাই স্পিড মাল্টি সলিউশন-এ কাজ পেয়েছিলেন, প্রতি মাসে তিনি ₹9,000 আয় করছেন. তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত করার সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি টিভিএস ক্রেডিট এবং যুব পরিবর্তনের কাছে কৃতজ্ঞ.

ধ্যানেশ্বরী বলবন্ত শির্তার, 18, পুণের জুন্নার এলাকায় বসবাস করেন. তার বাবা একজন দিনমজুর, তিনিই এই চার সদস্যবিশিষ্ট পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী. তার বাবা প্রতি মাসে প্রায় ₹5,000 আয় করেন, যা পরিবারের জন্য যথেষ্ট নয়. ধ্যানেশ্বরী একটি পুস্তিকার মাধ্যমে যুব পরিবর্তন এবং জুট ব্যাগ নির্মাণ প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন. তার মনে হয়েছিল এটি আয় করার এবং তার পরিবারের হাল ধরার একটি ভালো উপায় হতে পারে. প্রশিক্ষণ-সহ ব্যাগ তৈরির প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ করার পরে, ধ্যানেশ্বরী এখন 'ধ্যানেশ্বরী লেডিস টেলার' নামে একটি ব্যবসা শুরু করেছেন’. তিনি এখন মাসে ₹5,000 আয় করেন. তিনি টিভিএস ক্রেডিট এবং যুব পরিবর্তনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যা তার জীবনে আশাব্যাঞ্জক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে.

সচিন পাণ্ডে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে জুন্নারে থাকেন. তার বাবা হলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী. তিনি প্রতি মাসে ₹9,000 আয় করেন. তিনি যুব পরিবর্তন পুস্তিকার মাধ্যমে ওয়্যারম্যান কোর্স সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন. যখন তিনি প্রোগ্রাম সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছিলেন, তখন একজন ফেসিলিটেটর তাকে এই কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ এবং কোর্স সম্পূর্ণ করার পরে তিনি কী রকম চাকরির সুযোগ পেতে পারেন তা বুঝিয়ে বলেছিলেন. এই কোর্সের জন্য সচিন নাম তালিকাভুক্ত করেছেন এবং সেটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছেন. যুব পরিবর্তন তাঁকে অক্ষর প্রক্ষেপণ প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরি পেতে সাহায্য করেছে. তিনি বর্তমানে কাজ করছেন এবং প্রতি মাসে ₹9,000 আয় করছেন, এবং এখন তার নিজেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন বলে মনে হয়.

এম সাকিব একটি নিম্ন আয়যুক্ত পরিবারের সদস্য. আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে, তিনি 12তম শ্রেণীর পরে আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি. তিনি নিজের পরিবারের হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না. তিনি একটি মোবিলাইজেশন ড্রাইভের মাধ্যমে যুব পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন. তিনি কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছিলেন, তাদের দ্বারা অফার করা বিভিন্ন কোর্সের ব্যাপারে জেনেছিলেন এবং পরে বেসিক কম্পিউটার প্রোগ্রাম নির্বাচন করেছিলেন. প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ করার পরে, তিনি একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে 'আই প্রসেস'-এ চাকরি পেয়েছিলেন এবং প্রতি মাসে বেতন হিসেবে ₹15,000 আয় করা শুরু করেছিলেন. তিনি আনন্দিত যে নিজের পরিবারের জন্য সুদিন নিয়ে আসতে পেরেছেন.

স্নাতক হওয়ার পরেও. চাকরি পাওয়া খুব একটা সহজ ছিল না. আমি যে কম্পিউটার কোর্সটি করেছি সেটি আমাকে একজন অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসাবে কাজ পেতে সাহায্য করেছে.

আমি সত্যিই আমার স্বামীকে সংসারের হাল ধরার কাজে সাহায্য করতে চাইতাম. এখন আমার একটি চাকরি আছে, আমি তা করতে পারি!

আর্থিক সমস্যার কারণে 12তম শ্রেণীর পরে অর্চনা আর পড়াশোনা করতে পারেননি. তার বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন. তিনি চাকরি খুঁজতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দক্ষতার অভাব এবং সীমিত শিক্ষার কারণে, তিনি চাকরি পাননি. তার একজন বন্ধু তাকে বেঙ্গালুরু লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে বেসিক কম্পিউটার স্কিল প্রোগ্রামে যোগদান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন. অর্চনার প্রথম থেকেই কম্পিউটারে আগ্রহ ছিল এবং তার মনে হয়েছিল যে এটি তার জন্য একটি ভাল কেরিয়ার বিকল্প হতে পারে কারণ যুব পরিবর্তন তাকে চাকরি খুঁজতে সাহায্য করবে. সম্পূর্ণ করার পরে, তিনি ফার্স্ট কম্পিউটারে জন্য একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করা শুরু করেছিলেন, প্রতি মাসে বেতন হিসেবে ₹13,000 আয় করছিলেন. অর্চনা এখন তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছেন এবং টিভিএস ক্রেডিট ও যুব পরিবর্তন দ্বারা প্রদান করা এই সুযোগের জন্য তিনি কৃতজ্ঞ. “পড়ানোর পদ্ধতি খুবই ভাল এবং আমি ব্লেন্ডেড লার্নিং-এর সাহায্যে খুব স্পষ্টভাবে এবং সহজেই বুঝতে পারতাম. শিক্ষাদানের দক্ষতা ছাড়াও, যুব পরিবর্তন 'সোচ কা পরিবর্তন' সম্পর্কিত শিক্ষা দেয় যা আমাদের দৈনন্দিন কাজে আরও সাহায্য করে", অর্চনা তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেছেন.